সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
মোংলা প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে মোংলায় ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। ঘর বাড়ী বিধস্ত হয়েছে প্রায় দেড় হাজার আর মৎস্যঘের তলিয়ে ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকা। নষ্ট হয়েছে মানুষের যোগাযোগ ব্যাবস্থা রাস্তা ঘাটও। এখনো বিদ্যুৎ সরবারাহ বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ এলাকায়। তবে ঘরবাড়ী বিদ্ধাস্ত দুর্গতদের মাঝে সরকারী সহায়তা পৌছায়নি এখনো। ক্ষতিগ্রস্থরা বলছেন, দ্রুত সরকারের পক্ষ তেকে সহায়তা না পেলে মানবেতর জিবন জাপন করতে হবে তাদের।
প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় বুল বুল মোংলা উপকুলে আঘাত হানে শুক্রবার মধ্যে রাতে। তবে দুর্যোগের দুইদিন আগ থেকেই বিভিন্ন ভাবে সতর্ক সংকেত দিয়ে আসছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘুর্নিঝড়ের দিন রাত থেকেই বয়ে যায় ধমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত। এতে মোংলার জয়মনি, চিলা. সোনাইলতলা, সুন্দরবন, চাদপাই, কানাইনগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার গাছ পালা পড়ে ঘর বাড়ীর ভেঙ্গে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয় হয়েছে। তলিয়ে গেছে অনেক মৎস্য ঘের। ক্ষতিগ্রস্থরাবলছেন, সরকারী সহায়তা না পেলে মানবেতর জিবন জাপন করতে হবে তাদের। এছাড়াও ঘুর্ণিঝড় বুলবুল মোংলা উপকুলে আঘাত আনার আগ থেকে বন্ধ রয়েছে মোংলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। ৪৮ ঘন্টা পর সোমবার বিকালে পৌর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাভাবিক হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে বন্ধ রয়েছে এখনও। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছেন, গাছ পালা কেটে ক্ষতি গ্রস্থ লাইন সংস্কার করে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ করবেন তারা।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাত সরকারী হিসাব মতে মোংলার এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ১৩৭০টি ঘর বাড়ী, ১৬৮০ হেক্টর মৎস্য ঘের তলিয়ে ক্ষতি হয়েছে ৯৭ লক্ষ টাকা। অন্তত ১৫টি রাস্তা চলাচলের অনউপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসন বলছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারী সহায়তা পৌছে দেয়া হবে ক্ষতি গ্রস্তদের মাঝে। সুন্দরবন সংলগ্ন নদীর কুলে বসবাস করে মোংলা উপজেলার অনেক নিরিহ জেলে। সরকারী সহায়তা ছাড়া বসতভিটা সংস্কার মোটেও স¤ভব নয় তাদের পক্ষে এমটাই বলছেন তারা।